শিরোনামঃ
![]() ২০-০৫-২০২৩ ০৮:৫৯ অপরাহ্ন |
মাদ্রাসার প্রধান ফটক বন্ধ করে অধ্যক্ষসহ ৮টি পদের নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে আদেন করেও প্রবেশপত্র না দেয়ার অভিযোগে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছের একাধিক প্রার্থীরা। ঘটনাটি শনিবার (২০ মে) চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের হর্নি দূর্গাপুর ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসায় ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের হর্নি দূর্গাপুর ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসায় ৮ পদে নিয়োগের বিষয়ে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পেয়ে ৮টি পদে শনিবার (২০ মে) পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও বিভিন্ন পদের অন্তত ৯জন আবেদনকারী প্রবেশপত্র না পাওয়ায় তারা পরীক্ষায় অংশগ্রগণ করতে পারেননি। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে শনিবার (২০ মে) সকালে সাকিল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন যৌথ ভাবে উপজেরা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন।
সরেজমিন শনিবার (২০ মে) দুপুরে গেলে দেখা যায়, হর্নি দূর্গাপুর ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসার প্রধান ফটক বন্ধ। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ভিতরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল হোসেন বাবুল পাটওয়ারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে জোর করে মাদ্রাসার সভাপতি বানানো হয়েছে।
নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি।
মাদ্রাসার প্রধান ফটকের কি কারনে তালা ও বহিরাগতদের দিয়ে পাহারা দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা নিচ্ছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বহিরাগত অনেক ঝামেলা রয়েছে তাই ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।
৯ জন আবেদন কারিকে পরীক্ষার এডমিট কার্ড দেওয়া হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের কাগজপত্রে ত্রুটি ছিল তাই তাদের দেওয়া হয়নি।
নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একেএম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, আমি এই নিয়োগ কমিটিতে নেই। নিয়োগ পরীক্ষার্থীরা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোন নিয়ম নেই। এমন যদি হয়ে থাকে তাহলে এইটা নিয়ম বহির্ভূত।
নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহ-পরিচালক ডিজির প্রতিনিধি আবু নঈম জানান, আমি গতকাল শুক্রবারে (১৯ মে) শুনেছি যে কিছু সংখ্যক নিয়োগ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য তাদের এডমিট কার্ড পায়নি। আজ এই এলাকায় দুটি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। আমি এর বেশি কিছুই জানিনা।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তাসলিমুন নেছা জানান, কয়েকজন নিয়োগ পরীক্ষার্থী আমার কাছে এসে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য এডমিট কার্ড পয়নি বলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তারা আজ পরীক্ষার দিন অভিযোগ করায় কোন ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ঠিকানা : Ibrahim Monjil, New Track Road, Chandpur-3600.
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : chandpurbulletin@gmail.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলআমিন ভূঁইয়া