শিরোনামঃ
![]() ৩১-০৫-২০২৫ ১০:২৫ অপরাহ্ন |
সর্বশেষ কলেজের সমসামায়িক ঘটনার বিষয়ে শুক্রবার (৩০ মে) থানায় লিখিত অভিযোগ দেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরী রানাী সাহা।
তিনি অভিযোগ উল্লেখ করেন, গত ১৪ মে তিনি অসুস্থ্যতার কারণে জেলা প্রশাসক এর কাছ থেকে ছুটি নেন এবং বাসায় অবস্থান নেন। এরই মধ্যে ২৯ মে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কলেজের প্রধান সহকারী অমূল্য চন্দ্র সূত্রধর ও হিসাব রক্ষক মনির হোসেন ব্যাংক থেকে শেষ বেলায় বেতন ভাতার টাকা উত্তোলন করেন এবং প্রায় ১৬ জনের বেতন প্রদান করেন। ওই দিনের কাজ সমাপ্ত করে বাড়িতে চলে যান তারা।
পরদিন ৩০ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এসে কলেজের অফিস কক্ষ খুলার চেষ্টা করে পারেননি অমূল্য ও মনির। তারা দেখেন অফিস কক্ষের তালা পরিবর্তন হয়েছে। বিষয়টি অধ্যক্ষকে তারা মোবাইল ফোনে জানালে অধ্যক্ষ গৌরী রানী সাহা তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান। তিনি বিষয়টি অবগত করেন জেলা প্রশাসককে। জেলা প্রশাসক বিষয়টি অবগত হয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
গৌরী রানী সাহা বলেন, ২৯ মে রাত অনুমান ৮টা হতে ৩০ মে ভোর ৫টার মধ্যে কে বা কাহার কলেজে প্রবেশ করে কলেজের অফিস কক্ষ ও অধ্যক্ষের কক্ষের তালা ভেঙে নতুন তালা দিয়ে দুটি কক্ষ বন্ধ করে দেয়। এরপরে কলেজের নৈশপ্রহরীদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। যে কারণে থানায় অভিযোগ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩১ মে সকালে থানা থেকে পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা আসেন। তারা উপস্থিত থেকে ওই তালা কেটে দুটি কক্ষ খুলেন এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। ওই সময় কলেজের বিভিন্ন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। তবে ক্যাশে থাকা ২০লাখ টাকা ঠিকঠাক ছিলো। তবে পুলিশ নৈশপ্রহরীদের থানায় যেতে বলেন।
কলেজের হিসাব রক্ষক মনির হোসেন বলেন, থানা থেকে আসা পুলিশ কর্মকর্তা দুটি তালা ভেঙে আমাদেরকে কক্ষে প্রবেশ করার ব্যবস্থা করেন এবং নতুন তালা লাগানো হয়। এরপর আমরা যথারীতি শিক্ষকদের বেতন পরিশোধের কাজ করছিলাম। আনুমানিক বিকাল ৫টার দিকে কলেজের সাবেক বহিস্কৃত শিক্ষক মফিজুল ইসলাম ভুঁইয়ার নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫জন আসে। তারা আমার এবং কলেজের প্রধান সহকারী অমূল্য চন্দ্র সূত্রধরের মোবাইল নিয়ে যায় এবং কলেজের লকারের ক্যাশের চাবি নিয়ে যায়।
এ সময় মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে মশিউর রহমান রিপন, মাহবুবুল বাসার বিপুল, আনিসুর রহমান আযাদ, আরিফ হোসেন খান, নাসির হোসেনসহ ২০-২৫জন মিলে আমাদেরকে হুমকি ধমকি দেয়। তিনি বলেন কাল থেকে যেন আর কলেলজে না আসি। কেউ কলেজে আসলে তাদের হাত পা ভেঙে দেয়া হবে।
মনির বলেন, হঠাৎ এমন কান্ডে কি করবো বুঝতে পারিনি। কারণ আমাদের সাথে মোবাইল ছিলোনা। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি থানায় অবগত করি।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, মফিজুল ইসলাম গংরা একের পর এক কলেজে দৌরাত্ম্য এবং অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটাচ্ছে। যে কারণে কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও এসব অপরাধমূলক কাজে জড়িত এবং চিহ্নিত ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
ঠিকানা : Ibrahim Monjil, New Track Road (Bottola), Chandpur-3600.
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : chandpurbulletin@gmail.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলআমিন ভূঁইয়া