শিরোনামঃ
![]() ১০-০৭-২০২৫ ০১:৫৯ অপরাহ্ন |
ইলিশ সংকট, ব্যবসাসহ নানা সমস্যা এখন চাঁদপুর বড় স্টেশন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। ভরা মৌসুমে চাঁদপুরের বাজারে ইলিশের দাম আকাশচুম্বী হওয়ার একটাই কারণ ইলিশের আমদানি ও নদী থেকে ইলিশ প্রাপ্যতা কম। বর্তমানে এখানে এক কেজি ইলিশের দাম তিন হাজার হতে তিন হাজার দুইশ টাকা, ৮-৯শ গ্রাম ইলিশের দাম দুই হাজার আটশ থেকে দুই হাজার নয়শ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। লোকাল ইলিশ হলে দাম আরও বেশি।
ইলিশের দাম বৃদ্ধি নিয়ে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটের ব্যবসায়ী নবীর হোসেন বলেন, মাছের দাম আমদানির ওপর নির্ভর করে। আমদানি যদি কম থাকে তাহলে দাম বাড়বে। আমদানি না হওয়ার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। আর তাই ইলিশের দাম নির্ধারণে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার মানিক বলেন, ইলিশ সরবরাহের ওপর দাম নির্ধারণ হয়ে থাকে। সরকার নির্দিষ্ট দাম করে দিলে বিক্রি করা সম্ভব না। কারণ কাঁচামাল অগ্রিম মূল্য নির্ধারণ করা যায় না। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে চাঁদপুরসহ সারা দেশে ইলিশ নেই, তাহলে কিভাবে মূল্য নির্ধারণ করে দিবে। তারপরও ইলিশ সরবরাহের ওপর দাম নির্ধারণে প্রশাসনের এ সমস্যা সমাধানের কোনো সুযোগ থাকলে আমরা তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।
এদিকে এবার হাইমচর উপজেলা, মতলব উত্তর উপজেলা, মতলব দক্ষিণ উপজেলা, চাঁদপুর সদর উপজেলার নদীমুখী জেলেরা ব্যাপকভাবে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশ না থাকার কারণেই তাদের এ অবস্থা বলে জানা যায়। চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ আবহাওয়ার প্রভাবের কারণে এখানকার প্রায় কয়েক হাজার জেলের জীবন-জীবিকা দিন দিন আরও কঠিন হয়ে পড়ছে।
হরিণা এলাকার জেলে মো. বসির বেপারী বলেন, অনেক টাকা ঋণ হয়েছি। মনে করছি নদীতে মাছ ধরে ঋণ পরিশোধ করব। মাছ না থাকার কারণে কিস্তির ঋণের টাকা দিতে পারছি না। এবার বলেন সংসার চালাব না কিস্তির টাকা দিব। চরম মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে আমাদের।
ঠিকানা : Ibrahim Monjil, New Track Road (Bottola), Chandpur-3600.
মোবাইল : ০১৭৭৯-১১৭৭৪৪
ইমেল : chandpurbulletin@gmail.com
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলআমিন ভূঁইয়া